বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এবং সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের ঘটনাকে দুই দেশের অর্থনীতিতে নতুন এক মাইলফলক বলে হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার ভাতীয় সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়।এতে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ দুটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপ।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত রোববার থেকে ভারত থেকে মালবাহী ট্রেন কন্টেইনার চালু হ্ওয়ায় দু’দেশে পণ্য পরিবহনের খরচ কমে আসায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি একটি বিরাট ভূমিকা পালন করবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সড়ক পথে এ সব পন্য আনতে অনেক থরচ পড়ে যেতো, সময়ও বেশি লাগতো।প্রথমবার আসা ৫০টি পণ্যবাহী কনটেইনারের পণ্যের ওজন ইলেক্ট্রনিক মাপযন্ত্রে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাপা হয়।এতে সময়ও কম লেগেছে।রোববার আসা বনটেইনারে করে আনা পণ্যের মধ্যে ছিল, সাবান, স্যাম্পু ও টেক্সটাইল পণ্য।
এটাকে ঢাকা-দিল্লির কূটনৈতিক সমফলতা হিসেবেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।এ ছাড়া্ও চলতি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতীয় জাহাজে করে আসা পণ্য ত্রিপুরায় নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহায়তাকে দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনো দেশের চেয়ে এ দুদেশের মধ্যকার চমৎকার সম্পর্কের একটি উদাহরণ বলে বর্ণনা করা হয়।
ভারতের সঙ্গে এ চমৎকার সম্পর্কের সূচনা হয় ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর দুদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।তারই ফলশ্রুতিতে ২০১৫ সালে মোদির ঢাকা সফরের সময় ৪১ বছর ধরে অমিমাংসিত থাকা সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায় এ চুক্তির ফলে।ছিটমহল বিনিময়ের ফলে সীমান্তের মানুষজনের কাছে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ পদক্ষেপের ফলে এ অঞ্চল জঙ্গিমুক্ত হয় বলেও হিন্দুস্থান টাইমসের ওই প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়।
গত বছর ভারত সফরকালে শেথ হাসিনা দুদেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘সোনালি অধ্যায়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮.২ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হয়েছে।
.
.
একইসঙ্গে দারিদ্র বিমুচণ হয়েছে এবং উন্নয়ন হয়েছে বাংলাদেশে।
তথ্যসূত্র : যুগান্তর
.
.
.
.